এসএ গেমসে পুরুষ ক্রিকেট লিগের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল শ্রীলংকা। ফাইনালে সেই হারের শোধ তুললেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। লংকানদের ৭ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণ জিতলেন তারা।
১২৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান তোলেন তারা। ২৮ বলে ৪ চারে ২৭ করে সৌম্য ফিরলেও থেকে যান সাইফ। পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে খেলা ধরেন তিনি।তাতে জয়ের পথে এগিয়ে যান টাইগার যুবারা।
দলীয় ৮৩ রানে ৩০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ করে সাজঘরের ফেরেন সাইফ। তার পর ইয়াসির আলিকে নিয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যান অধিনায়ক শান্ত। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎ পথচ্যুত হনইয়াসির। জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে থাকতে ব্যক্তিগত ১৯ করে প্যাভিলিয়নে ফেরত আসেন তিনি।
তবে আর বিপদ হতে দেননি ক্যাপ্টেন। আফিফ হোসেনকে নিয়ে ১২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করেন তিনি। শান্ত ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় হার না মানা ৩০ রান করেন। অপর প্রান্তে ২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন আফিফ।
নেপালের কির্তিপুর ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বর্ণ জয়ের লড়াইয়ে অবশ্য জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন বোলাররাই। শ্রীলঙ্কাকে ২০ ওভারে ১২২ রানেই গুটিয়ে দেন হাসান মাহমুদ-তানভীর ইসলামরা।
টস জিতে লঙ্কানদের প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট করতে নেমে দুই লঙ্কান ওপেনার কিন্তু কিছুটা ভয়ই ধরিয়ে দিয়েছিল। ২৮ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন তারা।
পঞ্চম ওভারে সুমন খানের বলে ওপেনার নিশান মধুশাঙ্কা ফার্নান্দো ১৬ রানে আউট হয়ে যান আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ দিয়ে। পাথুম নিসাঙ্কা আউট হন ২৪ বলে ২২ রান করে। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান শাম্মু আসান। ১২ রান আসে অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। তানভির ইসলাম নেন ২ উইকেট। আর ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন পেসার সুমন খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৩ দল: ১২২/৮ (২০ ওভারে, নিশাঙ্কা ২২, ফার্নান্ডো ১৬, আহসান ২৫; হাসান মাহমুদ ৩/২০, তানভীর ২/২৮)।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল: ( ১২৫/৩, ১৮.১ ওভারে, সৌম্য ২৭, সাঈফ ৩৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৫*, আফিফ ৫*)।
ফল: বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ৭ উইকেটে জয়ী।