muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

‘রাজাকারের তালিকা পাকিস্তানের করা আমাদের না’

অনেকটা ঘোষনা দিয়েই রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজাকারের তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্বার নাম আসায় তালিকাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও  তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। রাজাকারের তালিকায় নাম আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপুর! বাসদ নেত্রী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী এবং ঠাকুমা উষা রানি চক্রবর্তীর নামও আছে।

এদিক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।

আ ক ম মোজাম্মেল আরও বলেন, একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাকিস্তানি বাহিনীর ভুল। যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব।

প্রসঙ্গত, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাক হানাদার বাহিনীকে পথঘাট চেনাতে ও মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে, তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যাচাই-বাচাই করে ধাপে-ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Tags: