মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ বেতন ১১তম গ্রেডে নির্ধারণসহ ছয় দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শনিবার মহাসমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিতে তার কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করেন শিক্ষকরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান।
শিক্ষকদের অন্য দাবিগুলো হলো- প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বন্ধ করে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নিয়োগ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি, নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন করে নারী-পুরুষের জন্য ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি যোগ্যতা নির্ধারণ, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা ও সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করে দ্রুত পদন্নোতির ব্যবস্থা করা এবং অর্জিত ছুটির বিধান প্রণয়ন করা।
এর আগে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সারা দেশের শত শত শিক্ষক শহীদ মিনারে উপস্থিত হন। শিক্ষকদের স্বরচিত কবিতা, দেশাত্মবোধক এবং বিপ্লবী গানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এলাকা।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহিদুর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে শিক্ষাবিদ ও সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক এ এন রাশেদা বলেন, শুধু বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন না এটা, শিক্ষা রক্ষার আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সাম্যের ভিত্তিতে কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনসহ সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি মু্ক্তিযোদ্ধা ধরেন্দ্রনাথ মণ্ডল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জিলানী শুভসহ শিক্ষক নেতারা।