muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকসহ ৩ জন কারাগারে

ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্ত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তুর্য।

এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাগর মিয়া জামিনের প্রার্থণা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, “আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। আগামি ৩০ ডিসেম্বর বিসিএস পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ শেষ হচ্ছে। ফরম পূরণ করতে না পারলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।

‘আসামিরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তারা মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক। ভবিষ্যতে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে কাজ করে যাবে। আসামিদের জামিনের প্রার্থণা করছি। “

রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাগর মিয়া। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সাগর মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের ৩৫/৪০ জন নেতাকর্মী টেলিনর কর্তৃক রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে গ্রুপের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে ডাকসুর সামনে পৌঁছলে সেখানে উপস্থিত ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা মামুন, রাশেদ, ফারুকসহ ২০/২৫ জন নেতাকর্মীর সাথে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্ত্যক্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে তাদের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপিত হয়।

একপর্যায়ে নুরসহ তার সাথে থাকা অন্যান্য কর্মীরা ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে। তখন এই তিন আসামি ও এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন লাঠিসোটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে ভিপি নুর ও তার অনুসারীদের এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। সেসময় ডাকসুর ভিপির রুমের জানালার কাচ, চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা।

মারামারিতে অংশ নেয়া মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা ডাকসুর ভিপি নুরসহ তার সঙ্গীদের লাঠিসোটা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এতে নুরুল হক নুর, মামুন, রাশেদ, ফারুক, মেহেদী হাসানসহ তুহিন ফারাবী গুরুতর জখম হয়।

ওই ঘটনায় শাহবাগ থানাধীন নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

Tags: