চলতি মাস থেকেই ভারতে বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খুব সহসা, এ মাসের মধ্যেই বেতারও ভারতে সম্প্রচার হবে। পুরো ভারতবর্ষে প্রচার হবে। আশা করি, এ মাসের মধ্যেই ভারতে বাংলাদেশ বেতার শোনা যাবে।’
এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু হয়, যা ছিল বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবি। এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানোর প্রচেষ্টা বহু বছর আগে থেকে চালানো হচ্ছিল, গত বছর এটি করা হয়েছে।’
দেশে কেবল টিভির ব্যবসায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রদর্শনের ক্ষেত্রে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ক্রম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী এখন প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রচুর বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছিল, সেটি বন্ধ করা হয়েছে। বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করা হচ্ছিল, এখন একটি কমিটির অনুমোদন নিয়ে তা প্রদর্শন করতে হবে।’
এ সময় বুধবার থেকেই অবৈধ ডিশ সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিসিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গত বছর সংবাদপত্রের নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণার কথা মনে করিয়ে দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের লক্ষ্যে ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ে এখন মোট ১৮টি আইন, বিধি, নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে সব সাংবাদিককে আইনি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।
অনেকগুলো অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাইনি। যেগুলো পেয়েছি, সেগুলোকে সহসাই নিবন্ধন দেওয়া হবে।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ ‘অনেক দূর’ এগিয়েছে বলেও তথ্য দেন তথ্যমন্ত্রী। সম্মেলনে তথ্য সচিব কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।