ঘানা থেকে বাংলাদেশে ফুটবল খেলতে আসা দুই নাগরিকসহ তিনজনকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে সাত হাজার ইয়াবা। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজন ঘানার নাগরিক। তারা হলেন ফ্রাঙ্ক (৪০) ও রিচার্ড (২৯)। অন্যজন বাংলাদেশি নাগরিক মো. মাসুদ। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার চক্রতলা গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনিও ফুটবলার। ঢাকায় বাস করেন।
তাদের তিনজনের মধ্যে ঘানার দুই নাগরিক ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ড আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম খায়রুল আমিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিক মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আবদুর রউফ বলেন, শুক্রবার রাতে বাকলিয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘানার নাগরিক ফ্রাঙ্ক ও রিচার্ডকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কক্সবাজারে তাদের ফুটবল খেলার নাম করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে ফুটবল খেলা হয়নি। ফেরার পথে তাদের হাতে প্যাকেট দেওয়া হয়। সেটি মাসুদকে দেওয়ার জন্য বলা হয়। পথিমধ্যে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। তখন মাসুদের তথ্য প্রকাশ পায়। এরপর দুই বিদেশি নাগরিককে নিয়েই অভিযানকারী দল ঢাকায় রওনা দেয়। ভোরেই অভিযানকারী দল ঢাকায় পৌঁছে। কিন্তু মাসুদ তখন ঢাকার বাইরে ছিলেন। সকাল ৯টার পর তিনি ঢাকায় ফিরেন এবং অভিযানকারী দল মাসুদকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।
ঘটনার বিষয়ে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দিন বলেন, ঘানার দুই নাগরিক বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে আছেন এবং লীগ পর্যায়ে ফুটবল খেলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদে জানিয়েছেন। তারা যেসব ক্লাবের নাম বলেছেন সেই ক্লাব গুলোতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, প্রকৃতপক্ষে তারা সেসব ক্লাবে খেলেন কি না? এছাড়া তাদের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়েও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশি নাগরিক মাসুদও ফুটবল খেলোয়াড়। তার বিষয়েও তদন্ত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল রাতে বাকলিয়া থানা পুলিশ ১৪ হাজার ইয়াবাসহ নারী ক্রিকেটার নাজরীন খান মুক্তাকে গ্রেপ্তার করেছিল।