কিশোরগঞ্জের ফিরোজা মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ম্যাটস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিবকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীরা। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে জেলা সদরের বৌলাই ইউনিয়নের ঝাউতলা গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র রাজিব আহমেদ এর বাড়ির সামনে তের হাসিয়া গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র সুজন মাদক বিক্রয় করছিলো। এ সময় রাজিব তাকে মাদক বিক্রয়ের বিষয়ে নিষেধ করলে সুজন তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়ে কিল ঘুষি দিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি রাজিবের বাবা জেনে তর্কাতর্কির কারণ জিজ্ঞেস করা অবস্থায় সুজনের নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী রাজিব আহমেদকে। এ সময় রাজিবের চাচা অ্যডভোকেট আল আমিন তাদেরকে বাঁধা দিলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় আহত হন রাজিবের মা বাবাসহ আরও ৫ জন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবকে মৃত ঘোষণা করে এবং রাজিবের চাচা অ্যাডভোকেট আল আমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এ বিষয়ে নিহতের চাচা অ্যডভোকেট আল আমিন কিছুটা সুস্থ হলে শুক্রবার বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী রফিক (২৪),আপেল (২০), লাল মিয়া (২৭) মালেক (৬০ কে গ্রেফতার করে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিজানুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত রাজিবের চাচা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৪জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।