মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছেন তা আর চলতে দেয়া যায় না।
তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যাতে কেউ উপহাস করতে না পারে এবং ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে সেজন্য অবিলম্বে আইন করা অতীব জরুরী।
অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বাধীনতা একাডেমী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ মো. সাঈদ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক নূর মোহাম্মদ তালুকদার ও ঢাকা বিভাগ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান।
এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মো. মোজাহীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তানের বক্তব্য আর বেগম জিয়ার বক্তব্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
তিনি বলেন, পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধ কালে সংগঠিত গণহত্যাকে অস্বীকার করেছে আর বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধ কালে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের কথা স্বীকার করলেন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে যে হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য একদিন তাকে বিচারের মুখোমুখী হতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। অবিলম্বে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা দেশের মুক্তিকামী মানুষের দাবী।
১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার প্রসঙ্গে মোজাম্মেল বলেন, বিচার করার শর্তে পাকিস্তানের কাছে শীর্ষ ওই পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের প্রত্যার্পণ করা হয়েছিল। পাকিস্তান শর্ত অনুযায়ী তাদের বিচার করে নি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৯৫ পাকিস্তানী সামরিক কর্মকর্তার বিচারে আর কোন বাধা নেই। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে আইন সংশোধন বা নতুন আইন করে হলেও তাদের বিচার করা উচিত।
আলোচনা সভা শেষে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের ‘স্বাধীনতা একাডেমী পুরস্কার -২০১৫’ প্রদান করা হয়।