ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তাতে তাবিথ নগরের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি দেখিয়েছেন নানান সম্ভাবনা।
ইশতেহার পাঠের পর এ নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তাবিথ। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরঙ্গনাদের নিয়ে আপনার অবস্থান কি?
জবাবে তাবিথ বলেন,
‘মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনাদের আমি সম্মান করি। মুক্তিযুদ্ধ না হলে স্বাধীন দেশ পেতাম না, মেয়র পদে নির্বাচন করতে পারতাম না। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা, পরিবারের নিকট আত্মীয়দের মধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন। আমি যে দলের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করছি সেই বিএনপিতেও অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তবে তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। অনেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু বিষয়টি রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। সিটি নির্বাচনে নগরবাসীদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।’
ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ দরকার তা জোগাড় করবেন কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, ‘ঢাকা সিটির জন্য প্রতিবছর ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও মাত্র আট থেকে দশ কোটি টাকা নিজস্ব আয় রয়েছে। তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই। ব্যবসা করতে গিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই সব অভিজ্ঞতা আমি কাজে লাগাতে চাই। এক্ষেত্রে আয় বাড়ানো অনেক পদ্ধতি আমি অবলম্বন করবো।’
আপনি যে জোট সমর্থিত প্রার্থী তার বিপরীত মেরুতে সরকারের অবস্থান। তাহলে কীভাবে নগরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তাবিথ বলেন, ‘মেয়র হলে সরকারে সহযোগিতা অবশ্যই চাইবো। তবে ২৮ এপ্রিল নিরপেক্ষ ভোট হলে যে জোয়ার হবে সেই গণজোয়ার দেখে সরকার তাকে সহযোগিতা করতে বাধ্য হবেন।’
টেন্ডারবাজি প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তো কোনো কার্যালয়ই নেই। সেখানে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করবে কীভাবে? টেন্ডারগুলো এখন অনলাইনেই সম্পন্ন করা হয়। আর এসব কাজগুলো সিটি কর্পোরেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত নয়।’
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ/ এম ইউ আহমেদ