কিশোরগঞ্জে ছিনতাইয়ের সময় দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. ঝিনুক মিয়া (২৬) কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকার মোঃ করিম বাবুর্চির পুত্র ও মো. বিল্লাল (২০) গাইটাল পাক্কার মাথার বকুল মিয়ার পুত্র।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল শিক্ষকপল্লী এলাকার সগড়া বিশ্বরোড সড়ক থেকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম টহল ডিউটি করার সময় মোঃ নাজমুল হকের টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের সময় তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়ার নাজমুল হক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে অটোরিকশাযোগে কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ী মোড় এলাকায় আসেন। এ সময় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য থেকে তার শরীরের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ছিনতাই চক্রের এক সদস্য। এ সময় আরো তিন ছিনতাইকারী সেখানে গিয়ে নাজমুলকে একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়। অটোরিকশা করে ছিনতাইচক্রের চার সদস্য গাইটাল শিক্ষকপল্লী এলাকার গিয়ে সেখানে নাজমুলকে নিয়ে নামে। পরে সগড়া বিশ্বরোড সড়কে নিয়ে গিয়ে চার ছিনতাইকারী নাজমুল হকের কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ ৬ হাজার টাকা জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া নাজমুল হক চিৎকার করলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম বিল্লালকে আটক করলেও অন্য তিন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে বিল্লালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হারুয়া এলাকা থেকে ছিনতাইচক্রটির আরেক সদস্য মো. ঝিনুক মিয়াকে আটক করা হয়। এ সময় তার নিকট থেকে ছিনতাই করা মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া নাজমুল হক বাদী হয়ে চার ছিনতাইকারীর নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।