প্রয়োজন ছাড়া নোয়াখালীর মাইজদির এক প্রসূতি নারীকে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় স্থানীয় ট্রাস্টওয়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কেন ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া চিকিৎসায় অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মোট ১২ জন বিবাদীকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে লক্ষ্মীপুরের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে রিমা সুলতানা নিপাকে ২০১৯ সালের ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত কারণে নোয়াখালীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর সিজার বাধ্যতামূলক। অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই।
এরপর ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না। এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও ছিল না। পরে ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর প্রসূতির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে পুনরায় গত ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়। চিকিৎসকরা সেলাইয়ে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
পরে ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা ইতির বিরুদ্ধে এ রিট দায়ের করা হয়।