ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই সিটিতেই মেয়র পদে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।
শনিবার রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ২,৫৯,৯৮৫ ভোট, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল পেয়েছেন ১,৫৯,৩৬১ ভোট।
ঢাকা দক্ষিণে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৩,৯৯,৬৯৫ ভোট, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২,১৯,০২৭ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন এবং নারী ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তরে মোট ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৩১৮। মোট সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি। এ ছাড়াও ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৪টি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ভোটার ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪১ এবং নারী ১১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৩। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ১৫০। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২৫টি। এ ছাড়াও ভোটকক্ষের সংখ্যা রয়েছে ৮৭৬টি।
ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে ইসি। এদের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ ও আনসার নিয়োজিত রয়েছে এবং বিজিবি, র্যাব ও নৌ-পুলিশ নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন বাহিনী বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোটের দায়িত্বে নিজ নিজ সদস্যদের নির্দিষ্ট জায়গায় মোতায়েন করে।
টানা ২০ দিন প্রচারণা শেষে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় সকল প্রকার প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোট উপলক্ষে রাজধানীতে ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও শুক্রবার রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত নৌ চলাচলও বন্ধ থাকবে।