কিশোরগঞ্জে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতারসহ ৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের প্রধান আব্দুল মতিনের বাড়ি সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামে। সে সহ চোরচক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে মাস তিনেক যাবত কিশোরগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। তারা চোরাই এসব মোটরসাইকেল পাঠাতো সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থানরত চোরচক্রের বাকি সদস্যদের কাছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের দুই দফার অভিযানে চোরচক্রটির হোতা আব্দুল মতিনসহ ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ৩টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়াারি) বিকাল থেকে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনটি চোরাই মোটর সাইকেলসহ মো. ইউসুফ ওরফে মোহন (২৪), পারভেজ মিয়া (২২), আঙ্ধসঢ়;গুর মিয়া চৌধুরী ওরফে দিলোয়ার চৌধুরী (৪৮), আলাউদ্দিন (২০), জাকির হোসেন (২৬) ও মো. আজাদ (২২) নামে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্নিবান চৌধুরী ও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্ধসঢ়;বাবধানে থানার পুলিশ পরিদর্শক (সিপি) জয়নাল আবেদীন এর নেতৃত্বে এসআই আমিরুল ইসলাম, কনস্টেবল আবু সাঈদ চৌধুরী ও কনস্টেবল মো. নাজমুল হোসাইন এর সমন্বয়ে একটি টিম শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর চক্রের প্রধান আব্দুল মতিনকে পুলিশ সনাক্ত করে।
পুলিশি অনুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুল মতিনের বাড়ি সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামে হলেও মাস তিনেক যাবত সে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের উকিলপাড়ার ভাসানী সড়কে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের মোটর সাইকেল চুরি করে আসছিল।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ মতিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ওইদিনই বিকাল ৩টার দিকে পাকুন্দিয়া গরুর হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর মতিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুইটি মোটর সাইকেলসহ রুবেল, শাকিল আহমেদ এবং নূরুল ইসলাম নূরুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত থেকে চোরচক্রের হোতা মতিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার পর বৃহস্পতিবার তাকে রিমান্ডে আনা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক পিপিএম বলেন, মোটরসাইকেল চোরচক্রের একটি বড় চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এই চোরচক্রে আরো কেউ রয়েছে কি-না, সে ব্যাপারে আরো অনুসন্ধান চলছে।