কোটি কোটি মানুষরূপী
স্রোতে ভাসা শ্যাওলার ভীড়ে
দ্রোহের আগুনো পোড়া
তোমরা নিখাদ সোনা;
প্রত্যয়ী প্রতিবাদী বীর সেনানী,
আমরা তোমাদের চিনতে পারিনি।
আমরা আজো বর্বর
যুক্তিযুক্ত কথার ধার ধারিনা;
সহজ সত্য কথার সুর বাণী
আমরা অনুধাবন করিনা।
যুক্তিতে হেরে যাই যদি তবে
আড়ালে চক্রান্ত করি!
বাসের তলায় পিষ্টে মারি
হাসতে হাসতে বুকে বসাই ছুরি!
রাজা যায় রাজা আসে
হম্বি তম্বি কত কাজ দেখায়!
আসলে তলে তলে প্রায় সব ব্যাটায়
রাতের আধাঁরে হাত মিলায়।
বীরের রক্ত স্বজনের কান্না
নিমিষেই হাওয়ায় মিলায়,
দেখার তো কেউ নাই
মানুষ কত অসহায় হায়!
অতি দুঃখে ও কষ্টে বলছি
এদেশে জন্ম নেয়াও পাপ
আবস্থান করাও পাপ!
মহা পাপীতাপী এদেশে নিস্পাপ!
সজন সুজনের তরে
চেয়ারে বসে কেউ করে না পরিতাপ।
শহীদ তাজুল ইসলাম
মহান হুমায়ূন কবীর খান পাপু
তোমাদের ভুলিনি, কভু ভুলিবো না! আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী
হৃদয়ে থেকে থেকে উঠে কান্না!
তোমরা বীর, সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান,
তোমাদের মত শত বীরের জন্মে
স্বদেশ পাবে রাহুর পরিত্রাণ!
কবিতাঃ পরিত্রাণ
কাব্যগন্থঃ প্রলয়-প্রলাপ
এ কে সরকার শাওন
পাইকসা, পলাশ, নরসিংদী।
১০.০২.২০২০
উৎসর্গঃ ১. শহীদ তাজুল ইসলাম,
১৯৯৩ সালের মার্চের কোন এক কাল দিনে রাজধানীর বালুঘাটের পি এস আই মার্কেটের সামনে দুই বাসের অশুভ প্রতিযোগীতার বলি হয়ে শহীদ হন ফ্লাইট সার্জেন্ট তাজুল ইসলাম (বিমান বাহিনীর ৫ম ব্যাচ) যার বাড়ী কিশোরগঞ্জের গচিহাটায়।
২. শহীদ হুমায়ূন কবীর খান পাপু
৯ই ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ইং সাল, বিকাল ০৫:০০ ঘটিকায় মীরপুর ১০ নং গোল চত্তরে দুইটি বাস অশুভ প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হলে হুমায়ূন কবীর খান পাপু প্রতিবাদ করেন। অতঃপর ড্রাইভার ও হেলপার ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে হত্যা করে। শহীদ হন সাতক্ষীরার রসুলপুর গ্রামের হুমায়ূন কবীর খান পাপু। তিনি আমার সাবেক সহকর্মী বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকরামুল কবীর খানের ছোট ভাই।