muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

নির্বাচন কমিশনকে মলম পার্টি নিয়েও কাজ করতে হয় : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করলেও কাজ কিন্তু করতে হয় স্থানীয়ভাবে। কেননা, আমাদের কাজ করতে হয় মলম পার্টি, পকেটমার, ক্যাসিনো নেতা, পাতি নেতাদের নিয়ে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত ১২দিনব্যাপী এক কর্মশালায় রবিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক সময় বলা হয়, আমেরিকা এমন করে, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিতে এইরকম হয়। আমাদের এখানে হয় না কেন? সেদিন একটা পলিটিক্যাল পার্টি এসেছিল, আমি অত্যন্ত নিচু গলায় বললাম কানে কানে, আগে সুইজারল্যান্ড হতে হবে, তারপরে। ইউ মাস্ট থিংক গ্লোবালি, বাট অ্যাক্ট লোকালি। সেটা সে কী অবস্থা, তার ওপর নির্ভর করে।’

তিনি বলেন  ‘আমাদের দেশে তো মলম পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। ব্যাগ টানা পার্টি নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের দেশে ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়। আমাদের পকেটমার নিয়ে কাজ করতে হয়।’

সিইসি বলেন, ‘দেখা গেল যে একবার এই যে গুলিস্তানে, মহল্লায়, যারা এই যে হকারদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিছুদিন পর হয়তো দেখা গেল, নেতা, পাতি নেতা, উপ-নেতা তারপর পূর্ণ নেতা। তারপর কমিশনার। এগুলোও তো আমাদের দেখতে হয়। হু নোজ যে একদিন এমপি হবেন না তিনি। সুতরাং সেই ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়।’

নতুন যোগদানকৃত থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের, যারা সবকিছু নিয়ে কাজ করেন, তাদের সামাল দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের বিষয়। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার উপায় হলো-চেষ্টা, দক্ষতা ও একাগ্রতা। আর আপনাদের ব্যক্তিত্ব।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এখন টক অব দি কান্ট্রি। এটা নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। আমরা বলি কী- সেই একই কথা, যে সুইজারল্যান্ডে তো পেপার ভোট হয়। কিন্তু সেখানে তো যুদ্ধের মতো বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হয় না। পুলিশ, আর্মি সকলকে নামাতে হয় না। পোস্টারে আকাশ দেখা যায় না, বাতাস আসে না। সেই দেশে তো এমন হয় না। তাই বলে কী আমাদের এখানে নির্বাচন করতে হবে না।  সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।

তিনি বলেন, কেন ইভিএম? ইভিএমের ফলেই এখন আর সেই দশটা হুন্ড, বিশটা গুণ্ডার যুগ নেই। এদের ভাড়া করতে প্রার্থীদের যেতে হবে না। যারা ভোট ছিনতাই করবে, এদের কাছে যেতে হবে না। আর নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকে তাদের পেছনে যারা টাকা দিয়ে, তাদের কাছেও যেতে হবে না। একমাত্র ইভিএমই পারে, ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের নিয়ে যেতে।

ইসি সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় চার নির্বাচন কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tags: