মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ পাকিস্তান ক্রিকেটের এখন সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র মোহাম্মদ আমির। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফেরার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে নানা গুঞ্জন-আলোচনা। কঠিন শাস্তি যে তাঁর আগুন-ঝরানো বোলিংকে ম্লান করতে পারেনি, সেটা অবশ্য ভালোভাবেই প্রমাণ করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেতেও দেরি হলো না। আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ঘোষিত পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুটো দলেই আমিরের নাম আছে।
প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে শুরুতে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা কায়দে আযম ট্রফির বাছাইপর্বের চার ম্যাচে ৩৪ উইকেট এবং এরপর মূল প্রতিযোগিতায় ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন আমির। নভেম্বর-ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত বিপিএলেও দারুণ পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
এমন পারফরম্যান্সের জন্যই আমিরকে উপেক্ষা করতে পারেননি পাকিস্তানের নির্বাচকরা। শুক্রবার দল ঘোষণার পর দেশটির প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘ভিসার নিশ্চয়তা পেয়েই আমিরকে দলে নেওয়া হয়েছে। আইসিসি আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে নির্বাচন করা হয়েছে। তার সাম্প্রতিক ফর্ম দুর্দান্ত। আর তাই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।’
নিউজিল্যান্ডে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। ১৫, ১৭ ও ২২ জানুয়ারি হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। আর ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে ২৫, ২৮ ও ৩১ জানুয়ারি।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল : শহীদ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শোয়েব মাকসুদ, সরফরাজ আহমেদ, আনওয়ার আলী, ইমাদ ওয়াসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, আমের ইয়ামিন, উমর গুল, উমর আকমল, মোহাম্মদ আমির ও সাদ নাসিম।
ওয়ানডে দল : আজহার আলী (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, আসাদ শফিক, বাবর আজম, শোয়েব মাকসুদ, জাফর গহর, ইমাদ ওয়াসিম, আনওয়ার আলী, সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, মোহাম্মদ ইরফান, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আমির।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/01-01-2016/মইনুল হোসেন