মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ
সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হল ঠোঁট। একেক মানুষের ঠোঁটের ধরণ একেক রকম। কারো পাতলা, কারো মোটা। ঠোঁট যেহেতু আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই এর সঠিক যত্ন নেয়া খুব জরুরি। বিশেষ করে শীতের সময় আমরা ঠোঁটের বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকি কারন শীতকাল পড়তে না পড়তেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় কষ্ট পান অনেকেই | আজ থাকছে ঠোঁট ফাটা সারানোর কিছু ঘারোয়া উপায়।
মাত্রাতিরিক্ত ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের ঠোঁট ফেটেও যায়, যা খুবই অস্বস্তিকর।শীতের সময়ে ঠোট ফাটা সমস্যা খুব সহজ কিছু উপায়ে এড়াতে পারেন।
যাদের ঠোঁট ভীষণ শুকিয়ে যায় তাদের একটি বদ অভ্যাস তৈরি হয়। যা হল কিছুক্ষণ পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকে ভাবেন এটি করলে ঠোঁট শুকোবে না। কিন্তু এতে ঠোঁট আরো বেশি শুকিয়ে যায় এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই এই কাজটি থেকে বিরত থাকুন।
এবার জানুন ঘরোয়া কিছু কার্যকর পদ্ধতি
১: মধু ও গোলাপ জল : খুব তাড়াতাড়ি ঠোঁট ফাটা কমায় এবং তাকে করে তোলে নরম ও পেলব | এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন | ঠোঁটে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন | তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন | দিনে অন্তত চারবার এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগানোর চেষ্টা করুন |
২: জোজোবা অয়েল : দিনে অন্তত দুবার জোজোবা তেল ঠোঁটে লাগান | ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন | ঠোঁট ফাটা তো কমবেই তার সঙ্গে ঠোঁটের লালচে আভা আবার ফিরে আসবে |
৩: গ্রিন টি ব্যাগ : অনেকেই জানেন না গ্রিন টি ব্যাগ খুব ভালো ময়শ্চারাইজারের কাজ করে | এবং খুব সহজেই এটা ব্যবহার ও করতে পারবেন । একটা ব্যবহৃত টি ব্যাগ নিন এবং ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরুন | এইভাবে চার মিনিট রেখে দিন | দিনে একবার করে করলেই হবে।
৪: লেবুর রস : নরম ও পেলব ঠোঁট খুব সহজেই পাবেন লেবুর রস লাগিয়ে এছাড়া নিয়মিত লেবুর রস লাগালে ঠোঁটের বয়েস বাড়বে না | এছাড়াও কালো ছোপ ও মিটে যাবে | এক চা চামচ দুধের সর ও তিন ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন | মিশ্রণটা ফ্রিজে রেখে দিন | রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণটা লাগিয়ে নিন | সুফল পাওয়ার জন্য অন্তত তিন দিন অপেক্ষা করুন |
৫: মিল্ক ক্রিম : মিল্ক ক্রিম বা দুধের সর লাগালেও খুব সহজে ঠোঁট ফাটা সেরে যায় | তাজা দুধের সর নিয়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন | এরপর হাল্কা গরম জলে তুলো ভিজিয়ে নিন এবং আলতো করে ঠোঁট মুছে নিন |
৬: অ্যালোভেরা : প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার ছাড়াও ব্যথা দূর করে অ্যালোভেরা | অ্যালোভেরা জেল বা সরাসরি অ্যালোভেরা পাতা সরাসরি ঠোঁটের ওপর লাগাতে পারেন | একটুকরো অ্যালোভেরা পাতা নিন | পাতা থেকে রস চিপে তা ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে নিন | শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন |
৭: শশা : এক টুকরো শশা নিয়ে ভালো করে তা ঠোঁটের ওপর হাল্কা করে ঘষুন | ১৫ থেকে ২০ মিনিট শশার রস ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন | দিনে যতবার খুশি শশার রস লাগাতে পারেন |
৮) নারকেল তেল : ঠোঁট ফাটা খুব সহজেই নারকেল তেল লাগালে সেরে যায় | কয়েক ফোঁটা তেল ঠোঁটের ওপর লাগিয়ে নিন | নারকেল তেলের বদলে অলিভ অয়েল ও লাগাতে পারেন |
৯) চিনি : ঠোঁটের শুকনো চামড়া চিনির সাহায্যে এক্সফলিয়েট করে তুলে ফেলুন | নিয়মিত এক্সফলিয়েট করলে ঠোঁট নরম হবে | সামান্য চিনি আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন | এরপর হাল্কা করে ঠোঁটের ওপর ঘষতে থাকুন | ১০ মিনিট করার পর হাল্কা গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন ।
মেয়েরা ঠোঁটে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। এতে করে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। ঠোঁটের ত্বকের ক্ষেত্রে যদি ভাল প্রসাধনী ব্যবহার না করেন তবে ঠোঁট শুকিয়ে গিয়ে তা ফেটে যায় এবং আরো অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় একটু সাবধানে ব্যবহার করুন যাতে ঠোঁটে না লেগে যায়। কারণ এতে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/02-01-2016/মইনুল হোসেন