কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভাবিকে হত্যার দায়ে বাসির উদ্দিন নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। খালাস পেয়েছেন পাঁচজন।
সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত বাসির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে খালাস পাওয়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাসির উদ্দিন জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আম্বিয়া খাতুনের সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষক জজ মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার ছেলেমেয়ে ছিল। পারিবারিক কলহের জের ধরে রাগ করে স্ত্রী আম্বিয়া তার বাবার বাড়ি চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে তাকে আবার ফিরিয়ে আনেন স্বামী জজ মিয়া। বিষয়টি জজ মিয়ার ভাই বাসির ও তার পরিবারের লোকজন সহজভাবে নেয়নি।
২০০২ সালের ২ মে গভীর রাতে বাসির ও কয়েকজন সহযোগী নিয়ে ঘরের সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে শ্বাসরোধে আম্বিয়াকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় আম্বিয়ার চাচা কায়েসউদ্দিন বাদী হয়ে বাসিরকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে বাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৪ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘশুনানি শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।
মামলার আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ক্ষিতিশ দেব নাথ। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জীবন কুমার রায়।