দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ) আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মনসুর উদ্দিন হাওয়লাদার বলেন, আউয়ালের বিরুদ্ধে জেলার নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনের সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে।
এই অভিযোগে গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক পরিচালক মো. আলী আকবর আউয়ালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন। এর একটিতে আউয়ালের স্ত্রী ও জেলা মহিলা লীগ সভাপতি লায়লা পারভীনও আসামি করা হয়।
এসব মামলায় তারা গত ৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পান। আজ নিম্ন আদালত তাদের জামিন বর্ধিত না করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তার বিরুদ্ধে দেয়া বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দুদক তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ পেয়েছেন তা হলো-তার নিয়ন্ত্রণাধীন বুশরা এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সুভাষ এন্টারপ্রাইজ নামের ২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পিরোজপুরের ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি কাজ পাওয়া অন্য সকল ঠিকাদারের কাছ থেকে শতকরা ১০ ভাগ কমিশন নিয়েছেন। তার ২ আমলে পুলিশের নিয়োগ দেয়া ৭৬৪ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আড়াইহাজার শিক্ষক ও ৩২৪ জন নৈশ প্রহরী নিয়োগে বানিজ্যের অভিযোগ। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের পদ বানিজ্য।
অবৈধ টাকায় ৪টি কার্গো জাহাজের মালিক। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরিতে বানিজ্য, আর চাহিদা মতো টাকা না দিলে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের।
জোর করে হিন্দুদের সহ অন্যদের প্রায় ডজন খানেক বাড়ি দখল ও লিখে নেয়া। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নিজের পছন্দের বাহিরের প্রার্থীদের বিরোধীতা করে অর্থের বিনিময়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করা।