১১ মার্চ করিমগঞ্জ স্বাধীন বাংলা পতাকা উত্তোলন দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় করিমগঞ্জে তৃতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ গনগবেষণা কেন্দ্র এই দিবস উদযাপনের সফল আয়োজন করে।
করিমগঞ্জ সরকারী অনার্স কলেজের সহযোগীতায় কলেজ মাঠে সকাল ১১ টায় আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করেন করিমগঞ্জে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ।
পতাকা উত্তেলনের সময় পাশে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তসলিমা নুর হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ গণগবেষণা কেন্দ্রের আহ্বায়ক করিমগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ রাজনৈতিক মোঃ ইকবাল, করিমগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন।
পরে কলেজ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ গনগবেষণা কেন্দ্রের আহব্বায়ক, করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সর্বজন শ্রদ্ধেয় জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইকবাল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তসলিমা নুর হোসেন।
মশিউর রহমান বাবুল ও নজরুল ইসলামের গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটি যৌথ সঞ্চালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ গনগবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান বিপ্লব ও সাংবাদিক আব্দুল জলিল।
সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা ইয়াসমিন, করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোক্তার হোসেন, ওসি (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন, নারী নেত্রী শাহিদা আক্তার খানম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মতিউর রহমান ভূইয়া, করিমগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির উদ্দিন মিল্কী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব সরকার জাহাঙ্গীর সিরাজী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলী আহম্মেদ লিমন প্রমুখ।
এছাড়াও মোসলেহ উদ্দিন আহম্মেদ সিআইপি, কমরেড ফরিদ উদ্দিন মুজাহিদ গোলাম ফারুক, হারুন অর রশিদ, আবু সুফিয়ান, মশিউর রহমান বাবুল, পালাকার অজিত সূত্রধর, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি আলোচনা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুন অর রশিদ ১৯৭১ সনের ১১ মার্চের পতাকা উত্তোলনের পটভূমি বর্ণনা করেন।
বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ গণগবেষণা কেন্দ্রের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজনের বিকল্প নেই।’
শেষে পতাকা উত্তোলক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদের হাতে সংগঠনের পক্ষ হতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে।