বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরে আসছেন তাদের ১৪ দিনের সেলফ কোয়ারেনটাইনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তবে তারা সরকারের সহানুভূতিশীল এই পরামর্শ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ আইন প্রয়োগ করা হবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
আজ শুক্রবার সকালে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে সংবাদ সংম্মেলনে এসব কথা জানান আইইডিসিআর’র পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যাদের কোয়ারেনটাইনে থাকার কথা তারা সরকারের সহানুভূতিশীল পরামর্শ অমান্য করলে সংক্রামক রোগ আইন প্রয়োগ করা হবে।’
সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘আমরা চাই না এ ধরনের কোনো আইন প্রয়োগ হোক। আমরা চাই, সবাই মিলে একসঙ্গে করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবো।’
বিদেশ ফেরতদের সেলফ কোয়ারেনটাইনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আইইডিসিআর’র পরিচালক বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করব, যাদের শরীরে করোনার লক্ষণ আছে, আক্রান্ত দেশ থেকে এসেছেন তারা যেন আইইডিসিআরে সরাসরি চলে না আসেন। তারা হটলাইনে কল করুন। কারণ, আপনার শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে। আমরা বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করব। ইমেইল ও ফোনে রিপোর্ট জানিয়ে দেব।’
‘আইইডিসিআরের হটলাইনে ইতিমধ্যে মোট ৪ হাজার ৩৪৯টি কল এসেছে। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল ৪ হাজার ২১২টি। এ ছাড়া ১৬ জন সরাসরি এসেছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আক্রান্ত তিন রোগীর মধ্যে দুজন সেরে উঠেছেন বলেও জানান আইইডিসিআরের পরিচালক।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীর মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থ অবস্থায় এক রোগী বাড়ি ফিরে গেছেন। নতুন করে দেশে কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।
আক্রান্ত আরেক রোগীর একবার নেগেটিভ এসেছে, আরেকবার নেগেটিভ পাওয়া গেলে তাকেও করোনামুক্ত ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এদের মধ্যে দুজন ইতালি থেকে দেশে ফিরেছিলেন। আরেকজন তাদের মাধ্যমে করোনা সংক্রমিত হন।