করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যার থেকে বাদ পড়েনি ক্রীড়াঙ্গনও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ ফুটবল লিগ আগেই স্থগিত করা হয়েছে। ক্রিকেটে স্থগিত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সব সিরিজ। এবার পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্বীকৃত কোনো টুর্নামেন্ট বা খেলা মাঠে গড়াবে না।
আজ দুপুরে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সংবাদ সম্মেলনে পাপন বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীতেই যা হচ্ছে, বাংলাদেশেও এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যে কারণে সব জায়গায়ই খেলাধুলা বন্ধ। আমাদের এখানেও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগ প্রথম রাউন্ডের পরই আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, দুইটা দিন অপেক্ষা করি, অবস্থা-পরিস্থিতিটা পর্যবেক্ষণ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেই। তো, (দ্বিতীয় রাউন্ড স্থগিত করা) ঐটা একটা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত ছিলো। এখন আমরা সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সবধরনের ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখলাম যে, এখন অনেক কিছুই বদলাচ্ছে, খেলোয়াড়দের ইচ্ছেটাও আগের মতো নেই। এছাড়া কিছু ভিন্নমতও আসছে। তো সবদিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, দেশের সবধরনের ক্রিকেট বন্ধ, আপাতত স্থগিত। পরবর্তী ঘোষণা দেয়ার আগপর্যন্ত, পরিস্থিতি উন্নতির আগে আমরা কিছু বলতে পারছি না। পরিস্থিতি বদলালে আমরা খেলা শুরু নতুন সূচি ঘোষণা করে দেবো।’
এর আগে ১৫ ও ১৬ মার্চ ডিপিএলের প্রথম রাউন্ডের ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। আর ১৮ ও ১৯ মার্চ দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের একটি জরুরি বৈঠকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের অধীনে সব ধরনের ঘরোয়া খেলা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। তবে ক্রিকেট আর ফুটবল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে না হলেও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আলাদা করে লিগ বন্ধ ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।