রাত পোহালেই ঢাকা-১০, বাগেরহাট-৪ ও গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ-নির্বাচন। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার (২০ মার্চ) রাজধানীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে এই ভোটকেন্দ্র নির্বাচনসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্ট্যাম্প প্যাড, পিতলের সিলমোহর, বল পয়েন্ট কলম, সুচ, মোমবাতি, টিস্যু, অমোচনীয় কালির কলম, গালা, হেসিয়ান ব্যাগ, সাদা কাগজ, ছুরি, সুতা, গামপট, দিয়াশলাই বক্স, স্ক্রু ড্রাইভার, ভ্যাসলিন, ছোট মখমলের কাপড়, করোনা প্রটেকশন টিস্যু ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
ভোটারদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য রয়েছে—করোনা প্রটেকশন টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও একটি সচেতনতামূলক ব্যানার। ভ্যাসলিন ও ছোট মখমলের কাপড় দেওয়া হয়েছে ইভিএম মেশিনে যেসব ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলবে না, তাদের আঙুলে মখমলের কাপড় দিয়ে মোছানোর ও ভ্যাসলিন দেওয়ার জন্য।
ঢাকা-১০ উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস থেকে ভোটারদের সুরক্ষা দিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবে একটি সচেতনতামূলক ব্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু। ভোট দেওয়ার আগে-পরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানান, নির্বাচন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
করোনাভাইরাসের মধ্যেই ভোট করা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, খুব ভালো পরিবেশে যেহেতু ভোটার উপস্থিতি কম ছিল, তাই করোনার কারণে ভোটার কম হবে এটা ধরেই নেওয়া হয়েছে। তাই করোনার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
সচিব বলেন, ভাইরাসের কারণে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা দিতে সেখানে হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি বুথের পাশে ব্যানার থাকবে। কী করণীয় ব্যানারে তার দিক-নির্দেশনা ব্যানারে থাকবে।
ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা-১০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। ভোট কেন্দ্রে সংখ্যা ১১৭ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭৭৬টি। এই আসনের নির্বাচনি এলাকা হচ্ছে ধানমন্ডি ও লালবাগ থানা। ওয়ার্ড হচ্ছে- ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নম্বর।
ঢাকা-১০ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম, বিএনপির শেখ রবিউল আলম, জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
গাইবান্ধা-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮ হাজার ৭৮ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩২ টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৮৭৬টি। এই আসনে মোট চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বিএনপির অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মইনুল হাসান সাদিক, জাতীয় পার্টির মইনুর রাব্বী চৌধুরী এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি।
বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৭ হাজার ৪৩৪ জন। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৪৩ টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬২৯ টি। এই নির্বাচনে মোট দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি।