বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সার্বিক্ষনিক সহায়তার জন্য কিশোরগঞ্জে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্প্রতিবার কিশোরগঞ্জ জেলায় আর্মির পেট্রল ডিউটিতে ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ হোসেন এর নেতৃত্বে আর্মির একটি সেকশন দল মাঠে সক্রিয় ছিলেন।
পেট্রল (টহল) পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফজলে রাব্বি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান সাহেল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
এ সময় কিশোরগঞ্জ সদর, নীলগঞ্জ বাজার এবং জামালপুর বাজার এলাকায় (যেখানে লোকসমাগম বেশী) হ্যান্ড মাইকে করে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি নির্দেশনা ঘোষনা করা হয় এবং সাধারন জনগনকে ঘরে থাকার এবং অপ্রয়োজনে বাহিরে না বেরোতে অনুরোধ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফজলে মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানিয়েছেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কিশোরগঞ্জ জেলায় বিদেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের আবশ্যিকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়সহ সকল প্রকার সভা, সমাবেশ ও গণজমায়েত বন্ধ করা, ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করা সহ অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সার্বিক পরিস্থিতিতে অধিকতর সুরক্ষার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী কর্তৃক গৃহীত করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম পর্যালোচনা ও আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্ত ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১২৯ ধারা অনুযায়ী ও In Aid to Civil Power এর আওতায় জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সাধারণ জনগণকে আবারও এই মর্মে সচেতন করা হচ্ছে যে-কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। জরুরী প্রয়োজন যেমন খাদ্যদ্রব্য, ঔষধ, চিকিৎসা, মৃতদেহ সৎকার ব্যতীত কোনভাবেই বাড়ির বাইরে আসবেন না। গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। অসুস্থ /জ্বর /সর্দি -কাশি আক্রান্ত ব্যক্তিরা মসজিদ /ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাবেন না। নিজে সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। “যার যার ঘরে থাকুন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করুন। “