মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ প্রত্যেক চাকরিজীবীরই ‘ভয়ংকর’ বসের সঙ্গে কাজ করার কম-বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। দ্য আমেরিকান ম্যানেজারের গেলো বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি দুইজন চাকরিজীবীর একজন জটিলতাপূর্ণ ও বিরক্তিকর বসের কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। আপনার বস কর্মীদের জন্যে বিষাক্ত হলে সেখানে চাকরি করাই দুষ্কর। ৪টি লক্ষণে বুঝে নিন, আপনি এমনই এক বসের পাল্লায় পড়েছেন।
১. কর্মীদের কথা শোনেন না : নির্দিষ্ট দায়িত্বের বাইরেও দক্ষ কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে দারুণ সব নতুন আইডিয়া বের করেন। এগুলো নিয়ে বসের সঙ্গে কথা বলতে চান তারা। কিন্তু অনেক বস কর্মীদের কোনো কথাই শুনতে চান না। এরা অফিসের বিষাক্ত কর্মকর্তা। ২০১৫ সালের এসএইচআরএম-এর এক জরিপে বলা হয়, ৬০০ চাকরিজীবীর ওপর জরিপ করে দেখা গেছে, এদের মাত্র ৩৭ শতাংশ তাদের বস নিয়ে সন্তুষ্ট। বাকিরা বিষাক্ত বসের কারণে চাকরি ছাড়তে প্রস্তুত।
২. দোষ চাপিয়ে দেন : ২০১৪ সালের ব্যামবুএইচআর ১০০০ আমেরিকান চাকরিজীবীদের ওপর জরিপ করে। দেখা যায়, প্রতি ৫ জনের একজনের ওপর বস জোরপূর্বক দোষ চাপিয়ে দেন। বিভাগের প্রধানের পরিকল্পনামাফিক কাজ করেও যখন লক্ষ্য অর্জিত হয় না, তখন বিষাক্ত বসরা এ কাজটি করে থাকেন। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেন। আবার এ ধরনের বসরা উল্টোটাও করেন। নিজের দোষ যেমন চাপিয়ে দেন, তেমনি অন্যের ভালো আইডিয়া নিজের বলে চালিয়ে দেন।
৩. যোগ্য কর্মীদের সঠিক কাজে দেন না : আদর্শ বসরা কর্মীদের দক্ষতা বুঝে সঠিক কাজে সুযোগ করে দেন। যে কর্মী যে কাজে দক্ষ, তাকে সে কাজেরই দায়িত্ব দেন বস। কিন্তু বিষাক্ত বসরা কর্মীর দক্ষতার খাত বের করতে ইচ্ছুক নন। তাদের ঘাড়ে যে দায়িত্ব দেওয়া আছে তার বাইরে সুযোগ সৃষ্টি করেন না।
৪. নেতিবাচক বিষয়ে মনোযোগ দেন : কর্মীদের পরামর্শ দিতে বা মনোযোগ বৃদ্ধিতে বসকে হাল ধরতে হয়। বিষাক্ত প্রধানরা কর্মীদের সম্পর্কে কিছু বলতে গিয়ে কেবলমাত্র তাদের নেতিবাচক দিকগুলোই তুলে ধরেন। অথচ তার আরো অনেক প্রশংসনীয় কাজ ধামাচাপা পড়ে। নেতিবাচক দিক তুলে ধরতে ইতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কেই বলতে হবে। নয়তো কর্মীরা মাঝে হতাশা চলে আসবে। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/05-01-2016/মইনুল হোসেন