muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

‘ডটবাংলা’ নামে বাংলা ডোমেইনের যাত্রা শুরু ২১ ফেব্রুয়ারি

tarana halim
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘ডটবাংলা’ নামে বাংলা ডোমেইনের যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নামে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে। খুব শিগগির কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হবে। চলতি বছর ফোর জি চালুর লক্ষ্যে তরঙ্গ নিলাম এবং সারা দেশ থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

দুই বছরে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

তিনি বলেন, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা ২১ ফ্রেব্রুয়ারি ডটবাংলা নামে বাংলা ডোমেইন চালু করতে পারব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সার্বজনীন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্রডকাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা কমাতে এবং দুর্গম এলাকায় সেবা বিস্তারে সরকার কক্ষপথে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১) স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কলড্রপ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইলে কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি। শিগগিরই এ নির্দেশনা পাঠানো হবে।

তিনি জানান, কত মিনিট কলড্রপ হলো, আর কত মিনিট ফেরত দেওয়া হলো, এ বিষয়ে শিগগির নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি। তবে কতদিনের মধ্যে কলড্রপের ক্ষতি পূরণ দেওয়া হবে- তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কলড্রপের জন্য বিভিন্ন অপারেটররা যে কল ফেরত দেবে, সে বিষয়ে যথাযথভাবে তদারকি করবে বিটিআরসি।

নতুন বছরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সেবার মান উন্নয়ন, সেবাকে সহজলভ্য করা, নিরাপদ ও সম্প্রসারণ- এই চারটি নীতি নিয়ে এগিয়ে যাবে সরকার।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেবার মান উন্নয়নের জন্য অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলেছি। কলড্রপ রোধ ও নেটওয়ার্ক সেবার মান বৃদ্ধিতে তাদের বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলতে হবে৷অবাঞ্চিত প্যাকেজ বন্ধ করা, কপিরাইট লঙ্ঘন রোধ করা বিভিন্ন বিষয়ে অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করেছি।

চলতি বছরেই ফোরজি চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে ফোরজি চালু করতে পারব। এজন্য তরঙ্গ নিলাম হবে। একই সঙ্গে ২.৫ জি সম্প্রসারণ ও দেশজুড়ে পূর্ণাঙ্গ থ্রিজির আওতায় আসবে ৷

৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারানা হালিম। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে টেলিটকের নতুন লোগো উন্মোচন করা হবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াবে, এজন্য কাজ করছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটেকের বিনিয়োগ অন্যদের তুলনায় অনেক কম। এই স্বল্প বিনিয়োগ নিয়ে প্রতিযোগিতায় যাওয়া আসলে কষ্টকর। তবুও আমরা চেষ্টা করছি। বিদেশি সহযোগিতা বা ঋণের জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ সময় টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী প্রসঙ্গক্রমে বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতের বিনিয়োগের মাত্র ৪ শতাংশ টেলিটকের।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগে আমাকে না জানিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। তা আবার বাতিল করা হয়েছে। নিয়োগের শর্ত পরিবর্তন করে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমডি নিয়োগ দেওয়া হবে।

নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএএনপি) শুরু হলে টেলিটকের অবস্থার উন্নতি হবে দাবি করেন তারানা হালিম।

দেশের মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, ২০১৪ সালে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১২.০৩৫ কোটি এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৪.৩৬৪ কোটি ছিল। ২০১৫ সালে মোবাইল ব্যবহারকারী ১৩.২ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫.৩৯ কোটিতে পৌঁছেছে।

তারানা হালিম বলেন, দুর্গম এলাকায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনে অর্থ ব্যায় করা হবে। সীমান্ত এলাকাগুলোকে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে লালমনিরহাটের দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতায় থ্রিজি নেটাওয়ার্ক চালু করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ কেবল শিল্প লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, বিটিআরসি, টেলিটকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tags: