কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্বাসকষ্ট, কাশি ও জ্বর নিয়ে মারা যাওয়া তিনজনের বাড়ি তিন উপজেলায়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে আমরু মিয়া (৫০) বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের তাতালচর গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে, সুমন আকন্দ (৩০) পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের নামাপুটিয়া গ্রামের আবুল হাসিম আকন্দের ছেলে ও সেলিম মিয়া (৪৭) করিমগঞ্জ উপজেলার মুসলিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাশিদের ছেলে।
আরও পড়ুন : ৫ হাজার পরিবারকে এক সপ্তাহের খাবার দিলেন এমপি
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আমরু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। সোমবার তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে আইসোলেশনে নেওয়ার পর পরই তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় সুমন আকন্দ নামের যুবককে এক সপ্তাহ আগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে বাইরে ঘুরাফেরা করতে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে পাশ্ববর্তী কটিয়াদী থেকে ফেরার পথে বাড়ির সামনে এসে মারা যায় সে। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং নমুনা সংগ্রহ করে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামটিকে লকডাউনের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন : কিশোরগঞ্জে মানুষকে ঘরে রাখতে তৎপর সেনাবাহিনী
অন্যদিকে করিমগঞ্জ উপজেলার করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সেলিম মিয়া সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। কিন্তু অসুস্থতার কথা পরিবারের লোকজন গোপন করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করান। পরে অবস্থা অবনতি হয়ে গত রোববার শেষ রাতে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজন পরদিন সকালে তা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা এসে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, মৃত তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিনা তা জানা যাবে।