হাওর অঞ্চলে শুরু হয়েছে ধান কাটা। কিন্তু বর্তমান করোনাভাইরাস আতঙ্কে শ্রমিক না পাওয়ায় বোরো ধান কাটতে পারবেন কি না এ শঙ্কা কৃষকদের মাঝে। এছাড়াও হাওরের সব উন্নয়ন কাজেও শ্রমিক সংকটে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। এই সংকট আর চরম দুশ্চিন্তা প্রতিনিয়ত তাড়া করছে কিশোরগঞ্জের হাওরের কৃষকদের। সব মিলিয়ে বেশ দুঃসময় যাচ্ছে তাদের।
এমন সংকটময় সময়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। স্বেচ্ছাশ্রমে নেতাকর্মীদের নিয়ে অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন তিনি।
বুঝবার (৮ এপ্রিল) সকালে মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের পূর্বহাটির বড়বান্দ হাওরে মামুনুর রশীদ নামের এক কৃষকের পৌনে দুই একর জমির ধান কেটে দেন তিনি। এসময় এলাকার অনেক নেতাকর্মীরা তাকে সহযোগিতা করেন। এখন থেকে প্রতিদিন তিনি এভাবে কৃষকদের ধান কাটবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে এমপি তৌফিকের নেতৃত্বে হাওরের বোরো চাষীদের পাকা ধান কেটে দেয়ার ঘটনা দিশেহারা ও অসহায় কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। দুঃসময়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় খুশি তারা।
আরও পড়ুন : কিশোরগঞ্জে করোনায় প্রথম মৃত্যু, এলাকা লকডাউন
কৃষকরা জানান, প্রতি বছর এ সময় হাওরে বোরো ধান কাটতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার ধান কাটার কৃষি শ্রমিক আসে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ আতঙ্ক এবং যানবাহন বন্ধ থাকায় কোনো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এ সব ভেবে যখন দিশেহারা তারা, তখন তাকে তাক লাগিয়ে দিয়ে এমপি তৌফিক হাজির হলেন ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দিতে। এ ঘটনা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল রাতে এমপি তৌফিক নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনে এবার বোরো ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হবে বলে জানান। সেই সংকটে তিনি এই তিন উপজেলার ছাত্রলীগকে বিনা পারিশ্রামিকে কৃষকদের ধান কাটার নির্দেশ দেন। পরে এমপি তৌফিকের আহ্বানে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।