কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাত করে কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামরুজ্জামান জামান(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে কটিয়াদী উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। কামরুজ্জামান উপজেলার সহশ্রাম ধূলদিয়া ইউনিয়ন ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়া পুুত্র ও রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃক সরকারের এডিপি প্রকল্প থেকে মহামারী করোনায় সংকটে থাকা অসহায় ও কর্মহীন ৪৫০জন পরিবারের ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি একজনের জন্য ৪৬০ টাকার সমপরিমান ১০কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১কেজি তেল, ২টি সাবান ও ২টি মাস্ক বরাদ্দ দেয়া হয়। খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার প্রতিনিধি হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)কে উপস্থিত রেখে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা দেয় হয়। কিন্তু তাদের কাউকে না জানিয়ে প্রতি প্যাকেটে ২-৩কেজি করে চাল কম দেয়া হয়। এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২শ প্যাকেজ উদ্ধার করে। এসময় ২৬টি প্যাকেটে চাল দেয়ার পরিমাণ সঠিক থাকলেও বাকি ১৮৭টি প্যাকেটে চাল কম করে চাল দেয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ১৮৭টি প্যাকেট জব্দ করে পুলিশ। এবং তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আকতারুন নেছা, কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা মো. সাইদুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম।
এ ঘটনায় কটিয়াদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আলীম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মো. কামরুজ্জামানকে আসামী করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এম. এ জলিল জানান, সরকারি ত্রাণের চাল অসহায় দরীদ্রদেরকে কম দিয়ে আত্নসাত করে কালো বাজারে বিক্রির করে দেয়ার জন্য কামরুজ্জামানের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কামরুজ্জামান থানায় আটক রয়েছেন।