র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল রবিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মারিয়া এলাকা থেকে কিশোরী গণধর্ষণ মামলার পালাতক আসামী জাহাঙ্গীর আলম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে।
জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল এলাকায় একটি বেকারিতে কাজ করত ঐ তরুণী। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সম্প্রতি বেকারিটি বন্ধ হয়ে যায়। গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বেকারির কর্মচারী উক্ত মামলার আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বেকারিতে কাজ আছে বলে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায়। তার কথা অনুযায়ী মেয়েটি গিয়ে বেকারি বন্ধ দেখতে পায়। রাতে বাড়ি ফেরা নিরাপদ নয়, এমন কথা বলে জাহাঙ্গীর মেয়েটিকে হোসেনপুর উপজেলার জিনারী গ্রামে তার পরিচিত তারা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে থেকে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার দিকে তার সহ পাটিরা মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এর পরপরই র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার পিপলাকান্দি গ্রামের মৃত আ: সাত্তার ভূঁইয়ার পুত্র ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকারোক্তি মতে জানা যায়, জিনারী গ্রামের মো: আ: মালেকের পুত্র মো: তারা মিয়া (৩০), বাগুয়া (পানচাপ্তা) গ্রামের মো: মিজানুর রহমানের পুত্র ফেরদৌস (২০) ও মারিয়া (বিসিক সংলগ্ন) মো: শাহাব উদ্দিনের পুত্র মো: সুমন মিয়া (২৭) মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লে: কামান্ডার এম শোভন খান (বিএন) জানান, জাহাঙ্গীর আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুনী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।