রোজায় কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনকে অসহায়দের মাঝে ত্রাণ-ইফতারি বিতরণের নামে জনসমাগম করতে দেওয়া হবে না জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘রোজায় কোনোভাবেই ফুটপাতে ইফতারি তৈরি ও বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’
বুধবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে নির্দেশনা দেওয়ার সময় আইজিপি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘এই সময় কেউ যেন ভেজাল পণ্য বিক্রি না করতে পারে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে। ফুটপাতে কোনো ধরনের দোকানও বসতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে রোজায় কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যেন কোরও কারণে পণ্যের মূল্য না বাড়ে। পণ্যের কালোবাজারি রোধ এবং খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে।’ এজন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
ত্রাণ বিতরণে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করেন আইজিপি বলেন, ‘রিলিফ, টিসিবি পণ্য, ভিজিএফ ও ওএমএস সুবিধা যেন জনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে হবে।’
হাওরে ধান কাটার শ্রমিক পাঠানোর জন্য বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘হাওরে হয়তো আরও শ্রমিক পাঠানোর প্রয়োজন হতে পারে। শ্রমিকদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার জন্য শ্রমিকবাহী গাড়ির সামনে ব্যানার ও গাড়িতে শ্রমিকদের তালিকা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিটের কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে রাখতে হবে।’ করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ঢাকাসহ বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসকা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।