করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করেছে। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না বলে আজ বৃহস্পতিবার সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। সরকারের এই ছুটির সঙ্গে মিল রেখে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আগামী ঈদ পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চলতি বছরের শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোজা ও ঈদের ছুটি রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত এক মাসেরও বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৫ মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ছুটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ জুন পর্যন্ত রোজা, ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি রয়েছে। তাই তারা সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করেই ঈদ পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ৩০ মে অথবা ১ জুন থেকেই বিদ্যালয়গুলো খুলতে চায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘সরকারের সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আগামী ৫ মে পর্যন্তই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে পড়ালেখায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই ২৫ মে থেকে রোজা ও ঈদের ছুটি শুরুর কথা থাকলেও তা আমরা এখনই ঘোষনা করছি না। আমরা ৫ মে পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করবো। এরপর সরকার আর ছুটি না বাড়ালে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘২৫ এপ্রিল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে রোজা ও ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর আগামী ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি রয়েছে। তাই শিক্ষাপঞ্জি অনুসারে আগামী ঈদ পর্যন্তই ছুটি কার্যকর হবে। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ছুটি কমিয়ে ঈদের পরপরই বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে।’
জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যথাসময়ে প্রকাশ করা যাচ্ছে না এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল। প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।