মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ বিয়ে মানে কি শুধুই যৌনতার বৈধকরণ? পুরুষের চোখে বিষয়টি অভীষ্ট সিদ্ধি হলেও মেয়েরা ভিন্ন মত পোষণ করেন। তাঁদের কাছে বিয়ে মানে নিরাপত্তা, জীবনসঙ্গী প্রাপ্তি, সন্তান ধারণের স্বপ্নপূরণ। তাহলে বিয়েতে যৌনতার কি কোনও ভূমিকাই নেই?
বিবাহ বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌনতা গুরুত্বপূর্ণ হলেও বিয়ের পর শুধু তাই নিয়েই সম্পর্ক দানা বাঁধতে পারে না। বিয়ের পর বহু দম্পতিই যৌনতা নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন। পুরুষ যৌন মিলনের জন্য বেশি আগ্রহী হয়। নারীরা কিন্তু একটু আদর, অল্প শারীরিক নৈকট্য নিয়েই সুখী। তাই অনেক স্ত্রীই ভাবতে শুরু করেন, স্বামী কি তাঁর কাছে স্রেফ যৌনতাই কামনা করেন?
সত্যি বলতে কি, বিবাহিত সম্পর্কে যৌনতা ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে। শুধুমাত্র যৌনতার উপর মনোনিবেশ করতে গিয়ে বেশ কিছু দম্পতির মধ্যে পরবর্তীকালে অশান্তি দেখা দেয়। ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কে চিড়ও ধরতে পারে। তখন দু’জনই বিকল্প খুঁজতে আরম্ভ করেন। শুরু হয় প্রতারণা, পরস্পরকে ভালোবাসার অভিনয়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সূত্রপাত।
বিবাহ বিশারদদের পরামর্শ, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আগে আরেকবার শিকড়ে ফিরে গিয়ে আসল কারণ অনুসন্ধান করুন। মনে রাখবেন, যৌনতা এমন এক অভিনব অনুভূতি যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভাগ করাতেই সবচেয়ে বেশি আনন্দ লাভ করা যায়। আবার যৌনতাই সেই আঠা যার মাধ্যমে পরস্পরের বন্ধন মজবুত হয়।
বয়স যত বাড়তে থাকে, পরস্পরকে ভালোবাসা জানানোর প্রয়োজনীয়তাও বাড়তে থাকে। হয়তো আগের মতো তাঁকে রূপসী বা রূপবান মনে না-ও হতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন আপনার সন্তানের জনক বা জননী তিনিই। প্রত্যক্ষ যৌনতা সেই সময় ফিকে হয়ে আসে। শুধু রয়ে যায় তার ফল, অর্থাত্ আপনার সন্তান। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় সে।
বিশেষজ্ঞদের নিদান, বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানে যৌনতার অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু তার বাহ্যিক রূপে মোহাবিষ্ট না হয়ে জীবনে তার পরোক্ষ প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হন। স্বামী-স্ত্রীর যৌনতা পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করুন।
সূত্র: এই সময়