প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যখন আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিউটিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এমনই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা নড়েচরে উঠতে শুরু করেছে।
গত বুধবার ( ২৯এপ্রিল) বিকালে ভৈরব সার্কেলের এএসপি রেজওয়ান দ্বীপুর নির্দেশে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদারের নেতৃত্বে এস আই আবুল কালাম আজাদ ফোর্স নিয়ে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ১০ কেজি গাজাসহ মোঃ নাসির মিয়া ওরুফে পাপন (২২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ও ইয়াছিন আরাফাত (২২) নামে এক সহযোগীকে আটক করে প্রমাণ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় এস এই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে দুইজনের নামে ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ৩৬ (১) এর টেবিল ১৯ (খ)/৪০ ধারায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু করেছে। মামলা নং-২৭।
আটককৃত নাসির মিয়া ওরুপে পাপন পার্শ্ববর্তী ভৈরব উপজেলার গজারিয়া নামাপাড়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে ও সহযোগী ইয়াছিন আরাফাত কুলিয়ারচর উপজেলার নাপিতেরচর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার বিকালে ভৈরব সার্কেলের এএসপি রেজওয়ান দ্বীপুর নির্দেশে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদারের নেতৃত্বে এস আই আবুল কালাম আজাদ ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড লিমা হার্ড ওয়ার এন্ড পেইন্ট বার্জার কালার ব্যাংক (বন্ধ) এর সামনে একটি চেকপোস্ট বসান। চেকপোস্ট চলাকালীন বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জগামী একটি ভাড়াটে সিএনজি থেকে দ্বাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ডে সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি ১০ কেজি গাজা নিয়ে নামার সময় ওই দুই যুবক পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করে পুলিশ।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাই তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ধৃত মাদক ব্যবসায়ী ও সহযোগীর নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে আজ বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) মাননীয় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।