কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসকে জয় করে আরো একজন পুলিশ কর্মকর্তা সুস্থ হয়েছেন। তিনি ভৈরব থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী (৪৬)। এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী সুস্থতা লাভ করায় বৃহস্পতিবার (৩০) দুপুরে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
এর একদিন আগে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনা ভাইরাসমুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন করোনা প্রতিরোধ লড়াইয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের সদস্যদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত ভৈরব থানার এসআই মো. চাঁন মিয়া।
এসআই মো. চাঁন মিয়ার পর কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। পর পর দুটি নমুনা পরীক্ষায় এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসায় তাকে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনি কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ১৪ এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। করোনা ভাইরাস মুক্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সেখান থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ছাড়পত্রে নিজ বাড়িতে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলার ব্রাহ্মণসাকুয়া গ্রামের মৃত ফজর আলী পাটোয়ারীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অনির্বান চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় ভৈরব থানায় কর্মরত এসআই (নি.) মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হঠাৎ হালকা কাশি অনুভব করলে গত ১৩ এপ্রিল ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নমুনা সংগ্রহ করে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জনের মাধ্যমে আইইডিসিআর-এ প্রেরণ করা হয়।
গত ১৪ এপ্রিল তার কোভিড-১৯ কোরোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার (আইসোলেশন) এর জন্য ওইদিনই বিশেষ এম্বুলেন্স যোগে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয়বার কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২৫ এপ্রিল তৃতীয়বার কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করলে পুনরায় রিপোর্ট নেগেটিভ হয়।
এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারীকে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে তার নিজ বাড়িতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন থাকার জন্য নির্দেশ দিয়ে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ জেলায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ১৭৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের সদস্য যাদের সবাই ভৈরব থানায় কর্মরত রয়েছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রথম আক্রান্ত এসআই চাঁন মিয়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) এসআই দেলোয়ার হোসেন সুস্থ হয়ে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বাকি ৯ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।