দেওবন্দের নীতি বিসর্জন দিয়ে সরকারি অনুদান নেবে না কওমি মাদরাসা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
শনিবার (২ মে) সরকারি অনুদান গ্রহণ বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মজলিসে খাসের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস সাহেব। বৈঠক থেকে বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করেন।
শনিবার (২ মে) বেফাকের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি অনুদান গ্রহণ, কওমি মাদরাসার দেড়শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি আদর্শকে বিসর্জন দেয়া। তাই এধরনের অনুদান গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সকল কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
বেফাক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘উপমহাদেশব্যাপী বিস্তৃত কওমি মাদরাসাসমূহ ভারতের বিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি-আদর্শ ও শিক্ষাক্রম অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে। দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠাকালে অলঙ্ঘনীয় যে ‘উসূলে হাশতেগানা’ তথা আট মূলনীতি নির্ধারণ করেন, তার অন্যতম একটি হলো ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে সরকারি অনুদান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং এই মূলনীতিকে বিসর্জন দিয়ে দেশের কোনো কওমি মাদরাসা সরকারি অনুদান গ্রহণ করতে পারে না। অতীতেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কঠিন সংকটকালীন সময়ে আমাদের পূর্বসূরিরা অনুদানের জন্য সরকারের দ্বারস্থ হননি।’
বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরো বলেন, ‘কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি বিশেষ আহ্বান, ক্ষণিকের সঙ্কট উত্তরণে সরকারি অনুদান গ্রহণ করে অনন্তকালের কুদরতি সাহায্যের রাস্তা বন্ধ করবেন না। আল্লাহ পাকের ওপর দৃঢ় ভরসা রাখুন, করোনার মহামারি থেকে বিশ্ববাসী ও মুসলিম উম্মার মুক্তির জন্য দোয়া জারি রাখুন। সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা’আলা আমাদের হেফাজত করবেন, ইনশাল্লাহ।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মাহফুযুল হক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা মুফতি নূরুল আমিন, মাওলানা মনিরুজ্জামান প্রমুখ।