মোঃ সোহেল রানা (মাগুরা জেলা প্রতিনিধি): উর্দ্ধতনের অর্ডার মান্য করতে গিয়ে মাগুরার হাজিপুর গ্রামের সৈনিক (বাধ্যতামূলক অবসর) নুরুজ্জামান নিপুনারায়নগঞ্জের ৭ খুন মামলায় জড়িয়ে প্রায় ১ বছর ধরে জেল খাটছেন এমনটাই জানালেন টিপুর স্ত্রী ফিরোজা হাবিব।
দুটি শিশু সন্তান নিয়ে নিপুর স্ত্রী ফিরোজা হাবিব এখন অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। আরো কতদিন এভাবে বিচারের আশায় থাকতে হবে তা ভেবে শংকিত ফিরোজা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আজ শুক্রবার এক লিখিত বক্তব্যে ফিরোজা হাবিব জানান- তার স্বামী নুরুজ্জামান দীর্ঘ ১৩ বছর অত্যান্ত সুনাম ও সততার সঙ্গে চাকরী করেছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী ১৪ তারিখে তিনি র্যা ব সদর দপ্তরে যোগদান করেন। সেখানে ট্রেনিং শেষে গত ৬ মাচ ১৪তে নারায়নগঞ্জের আদমজিতে যোগদান করেন।
ওই বছর ১৩এপ্রিল তার নারায়নগঞ্জ ক্যাম্পে পোষ্টিং হয়। সেখানে তিনি কোত ডিউটি, গেট ডিউটি পালন করেন। নারায়নগঞ্জ পোষ্টিং এর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় ২৭ এপ্রিল সেখানে মর্মান্তিক ৭ খুনের ঘটনা ঘটে।
ওইদিন নুরুজ্জামান শুধুমাত্র সাধারণ টহলের দ্বায়িত্বেই ছিলেন। এ সময় ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনাসমূহের সাথে নুরুজ্জামান কোনক্রমেই জড়িত ছিলেন না বলে ফিরোজা হাবিব দাবী করেন।
তিনি দাবী করেন ১৪জুন তারিখে কোনপ্রকার সরকারি সুযোগ সুবিধা না দিয়েই নুরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
এ সময় তিনি বাড়িতে চলে আসেন। ওই বছর ২ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ তাকে মাগুরা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারের পর ১ বছর পেরিয়ে গেলেও ওই মামলার কোনপ্রকার অগ্রগতি হয়নি বলে জানান তিনি। মামলার ধীরগতির কারণে তার স্বামীর জামিন কিংবা দ্রুত রায় পাওয়ার কোন সম্ভবানই দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।
ফিরোজা জানান, দুই ছেলে নিয়ে এখন অসহায় দিন কাটাচ্ছি।
তিনি বলেন- আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যাৎ কি? আমার বড় ছেলে মোঃ ফাহিম বিন জামান এবার পি, এস, সি পরিক্ষায় (গাল্ডেন)এ+ পেয়েছে। আমি কিভাবে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাব? ছোট ছেলেটি মাত্র ৪ বছরের। সবচেয়ে বড় কথা কি অপরাধে আমার স্বামীর এই অবস্থা সেটাইতো জানলাম না।
আমি ও আমার নাবালক সন্তানরা ঘটনার সঠিক বিচার এবং আমার নির্দোষ স্বামীর দ্রুত সঠিক বিচার শেষে মুক্তি ও তার যোগ্য পাওনা ফেরত চাই।
ফিরোজা বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একান্তভাবে জানাতে চাই আমার স্বামী যদি দোষী হয়ে থাকেন তবে তাকে শাস্তি দেয়া হোক। কিন্ত বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি যেন জেলে থাকতে বাধ্য না হন এই ব্যবস্থাটি অন্তত করুন। আমার অসহায় শিশুদের মুখের দিকে চাকিয়ে আপনার কাছে এই আমার একমাত্র অনুরোধ।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০৯-০১-২০১৬ইং/মোঃ সোহেল রানা/মইনুল হোসেন