সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মালিকপক্ষকে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
“এর আগে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর সহায়তায় ভবন থেকে বাসিন্দাদের মালামাল সরিয়ে ফেলার জন্যও বলা হয়েছে।”
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনটি ভাঙা না হলে রাজউকই তা ভেঙে ফেলবে এবং এর খরচ ভবনমালিকের কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে সংস্থাটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।এ বিষয়ে ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান বলেন, “প্রয়োজন হলে আমরা প্রস্তুত আছি।
তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভবন ভাঙার বিষয়ে রাজউকের কাছ থেকে কোনো চিঠি পাননি বলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেব।”
এদিকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে রাজউকের এই সিদ্ধান্তের কথা সন্ধ্যা পর্যন্ত সরে যাওয়া বাসিন্দারা জানতে পারেনি বলে জানিয়েছেন একাধিক বাসিন্দা।
খলিলুর রহমান ও ফারুক রহমান নামে দুজন বলেন, তারা গত দুদিন ধরে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।
ওই ভবনের নীচতলায় স্কুলের পোষাক তৈরির কারখানা রয়েছে খলিলুর রহমানের।
তিনি বলেন, “স্কুলগুলোতে নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর পোশাক তৈরি হয়ে পড়ে আছে; তারা স্কুল যেতে পারছে না।
ফরিদ নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কাগজ রয়েছে বাসার ভেতর। কাগজ না পেলে তার ভর্তির কাজ হবে না।
শনিবার সকালে তাজমহল রোডে মিনার মসজিদের কাছে ১৯/৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওই ভবনের ওপরের অংশ পাশের একটি ভবনে হেলে পড়ে।এতে ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হলেও বিকাল পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি রাজউককে জানায়। সন্ধ্যায় রাজউকের একটি দল ভবনটি পরিদর্শন করে; পুলিশ বাসিন্দাদের বের করে তা সিলগালা করে দেয়।
মুক্তিযোদ্ধর কন্ঠ ডটকম/11-01-2016/মইনুল হোসেন