মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ ভিন্নমত দলনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম ‘স্বাধীনভাবে’ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে।
সরকারের দুই বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা বলেন সরকার প্রধান। এই ভাষণ টেলিভিশন ও বেতারে সরাসরি সম্প্রচার হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের মিডিয়া এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারছে।”
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই বছর পূর্তিতে গত ৫ জানুয়ারি এক সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ‘রুদ্ধ’ হয়ে গেছে।
বেসরকারি টেলিভিশনের উপরও সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “টক শোতে কারা যাবে, কারা যাবে না সেটা তারা নিয়ন্ত্রণ করবে। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বললে পরের দিন তার বিরুদ্ধে মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে বন্দি করা হয়, এই হলো সত্যিকারের অবস্থা।”
শেখ হাসিনা ভাষণে বলেন, “বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ ছিল বাক-স্বাধীনতা হরণের দেশ, সাংবাদিক নির্যাতনের দেশ।”
নতুন করে ৩২টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদনেসর কথাও বলেন তিনি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাসহ তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠার কথাও আসে তার কথায়।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা এবং সাংবাদিকদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করার তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘শক্তিশালী’ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
“দুর্নীতি প্রতিরোধে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও বিএনপির অভিযোগ।
দশম জাতীয় সংসদ অকার্যকর বলে বিএনপির দাবির প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতীয় সংসদকে সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। বিরোধীদলকে ধন্যবাদ, তারা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিমত দিচ্ছেন, আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।”
বিএনপির বর্জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসনে রয়েছে জাতীয় পার্টি, দলটি সরকারেও অংশ নিয়েছে।