muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকর নয়

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটের কার্যকারিতা যাচাই শেষে চূড়ান্ত ফলাফল দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘গণস্বাস্থ্যের কিট করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তে কার্যকর নয়।’

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘উপসর্গের প্রথম দুই সপ্তাহে এই কিট ব্যবহার করে শুধু ১১ থেকে ৪০ শতাংশ রোগীর করোনা শনাক্তকরণ সম্ভব। তবে এই কিট কোভিড রোগের ব্যাপ্তি দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের ইতোপূর্বে কোভিড হয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। ইনফেকশনের শুরুতে ও ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ের এন্টিবডি আলাদাভাবে পার্থক্য করতে পারে না।’

‘যে সব স্থানে প্রচলিত আরটি পিসিআর পদ্ধতি চালু নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটি পিসিআর নেগেটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে আমরা শুধু গবেষণা করেছি, বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ’ যোগ করেন তিনি।

এর আগে বুধবার (১৭ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার কাছে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় গঠিত পারফরম্যান্স কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। কমিটিতে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুম।

চলতি বছরের ১৭ মার্চ করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।

২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। বেশ কিছুদিন কিট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের থেকে বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআরবিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়া হয়।

এরপর ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

Tags: