রুমন চক্রবর্তী (স্টাফ রিপোর্টার): ‘আজকে আমি বক্তৃতা দিতে আসিনি, এসেছি আপনাদের দেখতে; মিঠামইন দেখতে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও আরো বিভিন্ন বাহিনীর ভাইয়েরা মিলে দুই হাজার হয়ে যাবে। এ অবস্থার মধ্যে আপনাদের কাছে আমি আসতে পারি না।’
‘আগে এসে কামালপুর, মিঠামইন বাজার, কুইল্লাপাড়া, গিরিশপুর, বড়হাটি বিভিন্ন পাড়া বা গ্রামে একা একা হাঁটতাম। এখন বঙ্গভবনে প্রহরার মধ্যে থাকি। এখানেও প্রহরার মধ্যেই রয়েছি।’
বুধবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক কলেজ পরিদর্শনের সময় ছাত্র-ছাত্রী ও উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এভাবেই নিজের আক্ষেপের কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওরে এখন কাজের সময়। বোরো ক্ষেত লাগানো হচ্ছে। তাই বলেছি, জনসভার কোনো দরকার নাই। কোনো জনসভা করব না। হাওরে বর্ষাকালে জনসভা হলে মানুষ সহজে আসতে পারে। কাজেরও ক্ষতি হয় না। বর্ষাকালে জনসভা করা ভালো।
তিনি বলেন, মনটা চাইলেও আপনাদের কাছাকাছি বসে প্রাণখুলে কথাবার্তা বলা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় দুই হাজার সদস্য ও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি সবাই চলে যেতেন, আমি যদি আগের মতো একা একা থেকে যেতাম বাড়িতে; এভাবে থাকতে পারলে খুব ভালো লাগতো।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সারাদেশের নদী শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম। শুকিয়ে যাওয়া নদীতে ড্রেজারের মাধ্যমে খননের ব্যবস্থা না হলে জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ ড্রেজার আছে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এসব ড্রেজারেই একদিক থেকে অন্যদিকে নিয়ে যায়। যেখানে বেশি জরুরি, সেখানে ড্রেজার আগে নেওয়ার ব্যবস্থা হয়।
নিজ উপজেলা মিঠামইন সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা যারা বঙ্গভবনে আমার সঙ্গে দেখা করেন, তাদের কাছ থেকে জানতে পারি মিঠামইনে কাজ-কাম কেমন হচ্ছে। নিজের চোখে আগের মতো দেখা সম্ভব হচ্ছে না।
পরে নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি মিঠামইন ডাকবাংলোর সামনে বিশ্রাম নেন। আজ উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৩-০১-২০১৬ইং/রুমন চক্রবর্তী/নিঝুম