করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরিকল্পনা করছে তারা পরিবার। আর এ ক্ষেত্রে মাশরাফির ব্যবস্থাপত্র করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মাশরাফির ব্যাপারটা যতদূর জানি, বিসিবি সভাপতি আব্দুল্লাহ স্যারের (প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক) সঙ্গে কথা বলেছেন। তার প্রেসক্রিপশন পাঠানো হয়েছে। মাশরাফি তো এমপিও। তার ব্যাপারটা ভিন্ন। কিন্তু যখন বিপদ হয়, সংসদ সদস্য দেখে হয় না। মানসিকভাবে সবাই ধাক্কা খায়। তখন তার পাশে সবারই থাকা উচিত। কাল রাতে শুনলাম ভালো আছে, হাসিখুশি আছে।’
বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, মাশরাফির ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেছেন। তার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
মাশরাফির ছোট ভাই মোরসালিন বিন মর্তুজা বলেন, ভাইয়ের অ্যাজমার সমস্যা আগে থেকেই আছে। তারপরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল, বলার মতো কোনও উপসর্গ নেই।
তিনি বলেন, করোনা হলে যেটা হয় বুকে চাপ ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হয় সেটা হয়নি। তবে ভাইয়ার যেহেতু অ্যাজমার সমস্যা আছে তাই আমরা এটা নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু এই মুহূর্তে সামান্য কাশি ও শরীর ব্যথা রয়েছে। আপাতত ভাইয়াকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
করোনার উপসর্গ থাকায় গত শুক্রবার পরীক্ষা করিয়েছিলেন মাশরাফি। শনিবার দুপুরে জানতে পারেন তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। অবশ্য সংক্রমণের শুরু থেকেই নিজ এলাকায় জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন নড়াইল-২ আসনের সদস্য। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবারই নড়াইল যেতে হয়েছে তাকে। এখন মাশরাফি নিজেই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত।