মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (বিপিএসসি) এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য দূর করার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিপিএসসি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের উদ্যোগে ‘উন্নয়ন ভাবনা ও জনপ্রশাসনে নিয়োগ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এবং সরকারী কর্মকমিশন সাংবিধানিক সংস্থা। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকা ঠিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি নিয়ে অচিরেই বৈঠক করে প্রস্তাবনা তৈরি করবো এবং এ প্রস্তাবনা মন্ত্রিসভায় পাঠাবো। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়ার পর তা সংসদে উত্থাপন করা হবে।’
সৈয়দ আশরাফ বলেন, সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে সাংবিধানিক ভিত্তিতে বৈষম্য দূর করে অচিরেই সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিপিএসসি’র চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান।
সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং বিপিএসসির সদস্যবৃন্দসহ কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইসমাত আরা সাদেক বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের পর দীর্ঘদিন সামরিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারা সিভিল সার্ভিসকে গুরুত্ব দেয়নি।
তিনি বলেন, এ কারণে আমাদের এখনও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে অচিরেই আমরা এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবো।
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ও দীর্ঘসূত্রিতা দূর করার জন্য তিনি প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ই-টেস্টিং পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।