চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৫ হাজার ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে অতি ছোঁয়াচে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৫০৪ জনের শরীরে।
এই নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৬৯৫ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮ জন। আর নতুন ১ হাজার ১৮৫ জন নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৫৪ হাজার ৪৩১৮ জন।
সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে নতুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.১২ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৩৪.৫৪ শতাংশ।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত একদিনে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের ৩২ জনই পুরুষ, ২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন; রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের চারজন করে, রংপুর বিভাগের দুজন এবং খুলনা বিভাগের একজন।
হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের, বাড়িতে চারজনের। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৭১-৮০ বছর বয়সের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের, ছয়জন করে মৃত্যু হয়েছে ৪১-৫০ ও ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ২১-৩০ ও ৩১-৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন করে।
চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৭২৬ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২৫৯ জন; বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ২৬৭ জন।
এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৩১২ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৫২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৩ হাজার ৯১৩ জন।