ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের ২০ কোটি টাকা খাওয়া খরচের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আজ (বুধবার) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রতিজনের দৈনিক খাবারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। তবে হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকার বেশিরভাগই চলে গেছে হোটেল ভাড়ায়।
তিনি বলেন, এক মাসে ২২’শ জনের হোটেলে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াত বাবদ খরচ হয়েছে ১৩ কোটি টাকার বেশি। বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে করোনা মোকাবেলার সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হাসপাতালের পরিচালক।
এ সময় গত দুই মাসে এই হাসপাতালের কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসকসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকা খাওয়ার হিসাব দেন তিনি।
ঢামেক পরিচালক বলেন, ‘২২৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীর এক মাস হোটেলে থাকা- খাওয়া বাবদ খরচ হয়েছে ভ্যাট ছাড়া ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। আর ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ খরচ পড়েছিল ১৩ কোটি ৬৪ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৭ টাকা।‘
তিনি জানান, ‘চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের দুই মাস হোটেলে থাকা খাওয়া ও পরিবহনের খরচ ২৬ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা।
এর বাইরে ২২৭৬ জন জনের যাতায়াতে এক মাসে খরচ হয় ৪৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭০ টাকা। এর আগে একমাসের খরচ হিসাব করে দুই মাসের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল। এরপরই এই বরাদ্দ দেওয়া হয়।’