কিশোর-কিশোরী কিংবা তরুণ-তরুণীদের মাঝে একটা বিষয় খুবই বিভ্রান্তিকর। এ বিষয়টি বোঝার জন্য গবেষকরা বেশ কিছু তরুণকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনার কি মনে হয় যে আপনি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছেন?’ এ প্রশ্নের উত্তরটি ক্যারিয়ার, পরিবার গঠন কিংবা বৈষয়িক আরও কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী বহু মানুষকেই এমন প্রশ্নের উত্তরে ইতিবাচক উত্তর দেখা যায়। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তার ওপর নির্ভরশীল নয় বলে মনে করেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেন তারা। এ লেখায় রয়েছে সে তিনটি বিষয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. নিজের দায়িত্ব নেওয়া
অন্য কারো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া যায়না। এক্ষেত্রে তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের পায়ে দাঁড়ানো। নিজের দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে নিজেকে নেওয়ার পরই কাউকে প্রকৃত প্রাপ্তবয়স্ক বলে দাবি করা যায়। আর এ কারণে তরুণদের উচিত নিজের দায়িত্ব নিজেই নেওয়ার পর নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে দাবি করার কথা ভাবা।
২. স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া
কোনো বিষয়ে অন্যের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষি থাকা মোটেই কার্যকর বিষয় নয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করা উচিত। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে থাকতে পারে- কোন ধরনের শিক্ষা আমার নেওয়া উচিত, কোন ক্ষেত্রে আমার চাকরি করা উচিত, আমার কোথায় বাস করা উচিত, কার সঙ্গে আমার বাস করা উচিত কিংবা আমি কি কোনো সম্পর্কের মাঝে থাকব নাকি স্বাধীনভাবে বাঁচব ইত্যাদি।
ওপরের প্রশ্নগুলো বহু তরুণের কাছে জিজ্ঞাসা করলে কোনো উত্তর মিলবে না। এক্ষেত্রে উত্তরগুলো না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে তার মানসিক পরিপক্কতা আসেনি।
৩. আর্থিক স্বাধীনতা
অর্থ ছাড়া স্বাধীনভাবে চলা অসম্ভব বিষয়। এ কারণে তরুণদের আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থ আয় করার জন্য বিভিন্ন পূর্ণকালিন কিংবা খণ্ডকালিন চাকরি নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া অনেক তরুণই প্রাইভেট পড়ানো কিংবা অনুরূপ অর্থ উপার্জনের সঙ্গে জড়িত থেকে নিজের আর্থিক স্বাধীনতা ভোগ করছেন। আর এটি তাদের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার একটি বড় শক্তিও বটে।
মুক্তিযোদ্দার কন্ঠ ডটকম/14-01-2016/মইনুল হোসেন