muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য কক্সবাজারে দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।

এই সময় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সে লক্ষ্যেই কাজ চলছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যায় ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে।

পাশাপাশি তিনি জানান, কক্সবাজারকে উন্নত পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে যাতে বিশ্বের মানুষ এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস। তিনি একটি সংক্ষিপ্ত পটভূমি তুলে ধরেন এরপর একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। কক্সবাজার প্রান্তে প্রকল্প এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন স্থানীয় প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিরা। উদ্বোধন শেষে কয়েকজন উপকারভোগীর হাতে ফ্লাটের চাবি হস্তান্তর করা হয়। এরপর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় তিনজন উপকারভোগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তিনটি বৃক্ষ রোপন করেন।

কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের প্রথম এই ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। পুরো এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে ১৩৯টি পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি ভবনে আজ স্থান পাচ্ছে ছয়শ পরিবার। গোটা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবারের পুনর্বাসন হবে এখানে।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ উপকূলের বিশাল এলাকা সমুদ্রে বিলীন হয়ে যায়। এতে গৃহহারা হয় হাজার হাজার মানুষ।

এ সব মানুষ জীবনের তাগিদে আশ্রয় নেয় কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিমে বালিয়াড়ী ও ঝাউবাগান এলাকায়। যা পরবর্তীতে কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়। যেখানে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করছে। সব মিলিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু এসব মানুষ ঝুকিপুর্ণ এলাকায় বসবাস করে আসছিল।

এ দিকে বিশ্বমানের পর্যটন শিল্প বিকাশ ও ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। বিমানবন্দর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়া, নাজিরাটেক এবং সমিতি পাড়া এলাকার বিপুল পরিমাণ ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার।

অধিগ্রহণের আওতায় পড়া জমিতে ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার বাস করতো। ২০১১ সালে ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে এক জনসভায় এসব জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেন। তারই প্রেক্ষিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রহণ করা হয় খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প। যার নাম দেয়া হয়েছে শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্প। সেনা বাহিনীর তত্তাবধানে প্রথম পেইজে ৫ তলা বিশিষ্ট ১৯টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ৬০০ পরিবার পাচ্ছে নতুন ফ্ল্যাট।

Tags: