করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঘরের বাইরে ও অফিস-আদালতে মাস্কপরা বাধ্যতামূলক করে মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, এটি নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টাক্সফোর্স গঠন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাস্ক পরার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে আবেগ আপ্লুত হয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, তিনি (সচিব) স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর করোনার কাছে পরাজিত হয়ে স্ত্রী কামরুনাহার জেবু মারা যায়।
গ্রামের বাড়িতে ওই আত্মীয় (নারী) এবং স্ত্রী জেবু মাস্ক ছাড়া ছিলেন। একে-অপরের সঙ্গে মাস্ক ছাড়া মিশেছেন। মূলত ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হন। স্ত্রী মারা গেলেও ওই আত্মীয় এখন সুস্থ।
স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, এখন আমার কাছে বার বার মনে হয় মাস্ক পরিহিত থাকলে আমার স্ত্রীকে হয়তো হারাতে হতো না। আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোনো অবস্থায়ই মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পরিবর্তনসহ একটি বিব্রতকর ও কঠিন সময়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আশা করি সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করব।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা বিএমএ‘র সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দীন মোহাম্মদ, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. হিবরুল বারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।