muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

যশোরে জনপ্রতিনিধির শ্লীলতাহানির চেষ্টা, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একজন জনপ্রতিনিধির শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে যশোরের মনিরামপুরে পাঁচজনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই জনপ্রতিনিধি বাদী হয়ে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে গতকাল সোমবার মামলাটি করেন।  

বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের তদন্ত সংস্থা—পিবিআই যশোরকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, উপজেলা পরিষদের দুজন ভাইস চেয়ারম্যান, ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক, ভোজগাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী কবীর খান।

আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের একজন ভাইস চেয়ারম্যান স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর আপন ভাগনে। করোনাকালে সরকারের ত্রাণের ৫৫৫ বস্তা চাল চুরির ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা রয়েছে, যা ওই ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন।

ওই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মামলার বাদী। এই নিয়ে আসামিদের ক্ষোভ ছিল। ২২ জুলাই দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ছিল। ওই সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীসহ উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা সবাই উপস্থিত ছিলেন।

আরজিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত আলোচনা চলাকালে আকস্মিক ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু হট্টগোল এবং বাদীকে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি সভা ছেড়ে বাইরে বের হলে আসামিরা তার (বাদী) পিছু নিয়ে লোকজনের সামনে তার কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। একই সঙ্গে তারা তার কাছে থাকা কাগজপত্র ও একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তার সহকারীকেও মারপিট করা হয়। পরে বাদী গাড়ি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল লতিফ জানান, শ্লীলতাহানির চেষ্টা, সম্মানহানি, কুরুচিপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগে বাদী আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন এবং পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক বলেন, ‘২২ জুলাইয়ের আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে আমি বক্তব্য দেওয়ার সময় বাদী আমার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। পরে আরেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গেও তর্ক হয়। এরপর সভা শেষ হলে আমরা চলে যাই। পরে শুনি, মামলা হয়েছে। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা ও বানোয়াট।’

Tags: