muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

পল্লবীর ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি

রাজধানীর পল্লবী থানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পল্লবী থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে আমরা যা পাচ্ছি এটা ‘স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার সংশ্লিষ্ট একটি ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিস (অপরাধ কর্মকাণ্ড)’। জঙ্গির কোনো সংশ্লিষ্টতা আমরা এখনো পাইনি। তারা কেন কাকে কীভাবে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছিল সে বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এর বেশি কিছু পেলে আমরা পরবর্তীতে জানাবো।’

পল্লবী থেকে গ্রেপ্তার তিন জনের একজন শহীদুল, তাকে ৩ দিন আগে একটি মাইক্রোতে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করছে তার পরিবার। এ বিষয়ে থানায় জিডি আছে । তারপরেও তাকে কীভাবে আগের রাতে গ্রেপ্তার করা হলো?

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, ‘আপনার বক্তব্য আমরা তদন্ত করে দেখবো। আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি। আমরা তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। যে বস্তুটি উদ্ধার করেছি (বোমা) সেটা আপনারা দেখেছেন। এর বাইরে যদি কোনো বিষয় থাকে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

এদিকে, রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৫৯ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মগানগর গোয়েন্দা পুলিশ । তাদের মধ্যে, ওয়ারী বিভাগ ১৬ জন, সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ১০ জন, গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ ৯ জন, গোয়েন্দা রমনা বিভাগ ৮ জন, গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ৮ জন ও গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ ৮ জন।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২৪০ পিস চেতনানাশক ট্যাবলেট, ৪টি তরল মুভ স্পে বোতল, ৯টি মলমের কৌটা, ৭টি হারবাল পেইন কিলার, ৫টি চাকু, গুল, ৯ চেতনানাশক হালুয়াসহ মরিচের গুড়া ও জামবাগ উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক অশুধ বা লিকুইড কৌশলে চা, ডাব, পানীয় বা অন্যকোন খাবারের সাথে মিশিয়ে টার্গেটকরা ব্যক্তিকে খাওয়ায়ে সর্বস্ব লুটে নেয়। এছাড়াও তারা গুল, মরিচের গুড়া বা মলম চোখে মাখিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। মানুষের সমাগম স্থানে এরা তৎপর থাকলেও কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তারা তৎপর ছিল। গোয়েন্দা বিভাগ ২-৩ দিন ধরে এদের ধরতে কাজ করেছে। আমরা আশা করছি অজ্ঞান পার্টির এই সদস্যগুলো গ্রেপ্তারে পশুর হাটের কেনা-বেচা নিরাপদ হবে। এ বিষয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Tags: